মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০১০

দেশীয় পুঁজিবাদই ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশের মেহনতী জনগণের প্রধান সমস্যা। মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রধান সমস্যা নয় ।

তত্ত্বগত বিচারে, ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশের শ্রমিক কৃষক মেহনতী জনগণের জীবনে প্রধান সমস্যা নয়। বরং দেশীয় পুঁজিবাদই এই তিনটি দেশের মেহনতী জনগণের জীবনের প্রধান সমস্যা।

ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশের উৎপাদন ব্যবস্থা হলো পুঁজিবাদী। এই তিনটি দেশের ব্যাপক জনগণের উপর দেশীয় পুঁজিবাদী শোষণ প্রধান। দেশীয় বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের শোষণ নির্যাতন প্রধান। এসকল দেশে মেহনতী জনগণের জীবনে ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের তুলনায় দেশীয় পুঁজিবাদ অনেকগুণ বেশী ক্ষতিকর। দেশীয় বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার অনেকগুণ বেশী ক্ষতিকর।

ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীদের কোন রাষ্ট্র ও সরকার নেই। ধর্মীয় মৌলবাদ ব্যক্তিমালিকানায় বিশ্বাসী। ধর্মীয় মৌলবাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিবাদী। ধর্মীয় মৌলবাদ পুঁজিবাদী তবে সেটা পশ্চাদপদ পুঁজিবাদী বা পশ্চাদপদ বুর্জোয়া-পেটি বুর্জোয়া।

সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিবাদী, একচেটিয়া পুঁজিবাদী। ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদের শোষণ মূলতঃ পরোক্ষ ও মূলতঃ অর্থনৈতিক। এই তিনটি দেশে সাম্রাজ্যবাদের কোন রাষ্ট্র ও সরকার নেই। সাম্রাজ্যবাদ ও দেশীয় পুঁজিবাদ পরস্পরের সহযোগী। এই তিনটি দেশে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির পরিমাণ সীমিত। পরাধীন দেশে লগ্নি পুঁজির ক্ষমতা এবং পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদের যুগে স্বাধীন দেশে লগ্নি পুঁজির ক্ষমতা সমান হয়না। সমান হতে পারেনা।

ভারত, পাকিস্তান ও বাঙলাদেশে যতদিন পুঁজিবাদী শোষণ থাকবে ততদিন এসকল দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ কমবেশী ক্রিয়াশীল থাকবে। পৃথিবীর আরও দশটা দেশের মতো এসকল দেশে ভূমি ও শিল্পে ব্যক্তিমালিকানার উচ্ছেদ ছাড়া ও পুঁজিবাদের উচ্ছেদ ছাড়া ধর্মীয় মৌলবাদের উচ্ছেদ ঘটবে না। পৃথিবীর আরও দশটা দেশের মতো এসকল দেশে পুঁজিবাদের উচ্ছেদ ছাড়া সাম্রাজ্যবাদের উচ্ছেদ ঘটবে না।

তারিখঃ ২১.০৬.২০১০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন