শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০১০

সঠিক তত্ত্বের ভিত্তিতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের গুণগত বিকাশ ঘটে

সঠিক তত্ত্ব চর্চা ও বাস্তব সংগ্রামে মধ্য দিয়ে সঠিক তত্ত্ব গড়ে উঠে। সঠিক তত্ত্ব মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তত্ত্ব। মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তত্ত্বের ভিত্তিতে একটি দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের গুণগত বিকাশ ঘটে। কেবল পরীক্ষিত বা প্রমানিত তত্ত্বের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে একটি দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন গুণগতভাবে বিকশিত হয়।
 
কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী পার্টি। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকশ্রেণীর প্রকৃত শ্রেণীসংগঠন। কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শ্রেণীসংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন। বাঙলাদেশের অগ্রসর কমিউনিস্টদের প্রধান কাজ সঠিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে শহরাঞ্চলে শিল্প কারখানায় বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলা। অগ্রসর কমিউনিস্টদের দ্বিতীয় কাজ সঠিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে বিপ্লবী ক্ষেতমজুর সংগ্রাম ও গরীব কৃষক সংগ্রাম গড়ে তোলা।

যেহেতু, বাঙলাদেশের সমাজ বিপ্লবের নেতা শ্রমিকশ্রেণী (শিল্প শ্রমিক) এবং প্রধান মিত্র গরীব কৃষক। সেহেতু, বাঙলাদেশের অগ্রসর কমিউনিস্টদের প্রধান কাজ সঠিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে শহরাঞ্চলে বড় বড় শিল্প কারখানার (গার্মেন্টস শিল্পসহ বড় বড় শিল্প কারখানা) শ্রমিকশ্রেণীকে সংগঠিত করা। অগ্রসর কমিউনিস্টদের দ্বিতীয় কাজ সঠিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলে ক্ষেতমজুর ও গরীব কৃষককে সংগঠিত করা। কেবল, উপরে উল্লেখিত পথগুলিই মার্কসবাদী-লেনিনবাদী পথ। কেবল উপরে উল্লেখিত পথগুলিই সঠিক পথ।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদের তত্ত্বের মতে সঠিক কমিউনিস্ট রাজনীতি বিচিছন্ন ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রামের পথ সংস্কারবাদী পথ সুবিধাবাদী পথ। অপরদিকে শহরাঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্প কারখানাসহ বড় বড় শিল্প কারখানায় বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা না করে গ্রামাঞ্চলে কৃষক সংগ্রাম বা কৃষক ঘাটি গড়ে তোলার পথ নৈরাজ্যবাদী পথ সুবিধাবাদী পথ। আর বিভিন্ন অজুহাতে গার্মেন্টস শিল্পসহ বড় বড় শিল্প কারখানা বাদ দিয়ে শহরাঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্প ও হস্ত শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে এবং ভাসমান শ্রমিকদের মধ্যে বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলার চেষ্টাও সংস্কারবাদী পথ সুবিধাবাদী পথ।

আমাদের মতে বাঙলাদেশের অগ্রসর কমিউনিস্টদের কর্তব্য আরও গভীরভাবে আরও বেশী করে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মূল তত্ত্বগুলি চর্চা করা, অনুশীলন করা ও আত্তস্থ করা। অগ্রসর কমিউনিস্টদের কর্তব্য আরও গভীরভাবে আরও বেশী করে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মূল তত্ত্বের সঙ্গে সুপরিচিত হওয়া। প্রধানতঃ এই পথই বাঙলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সংকট উত্তরণের পথ। এই পথই বাঙলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিপ্লবী পুনর্গঠনের পথ কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুনর্জাগরণ ও পুনরুত্থানের পথ।

তারিখঃ ০৯.০৭.২০১০

ধর্মীয় মৌলবাদ উচ্ছেদের পথ ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম

বাঙলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ সক্রিয়। ধর্মীয় মৌলবাদের তাৎপর্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ধর্মের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবহার। ধর্মীয় মৌলবাদ এক অর্থে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় মতবাদ। ধর্মীয়  সামপ্রদায়িকতা তার সাধারণ ভিত্তি। আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে অন্যের ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে নিজের ধর্মের লোকদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করাই সামপ্রদায়িকতা।

বাঙলাদেশের সমাজ পুঁজিবাদী। যেখানে পুঁজিবাদী শোষণ থাকে মজুরী দাসত্ব থাকে সেখানে
ধর্মীয় মৌলবাদ কমবেশী ক্রিয়াশীল থাকে। ধর্মীয় মৌলবাদ সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্ত্রের সৃষ্টি নয়। দারিদ্র, অনাহার, চিকিৎসা বঞ্চনা, অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে ধর্মীয় মৌলবাদের সৃষ্টি হয়। দেশে অগ্রসর কমিউনিস্ট আন্দোলনের অনুপস্থিতিতে ধর্মীয় মৌলবাদ বৃদ্ধি পায়।

বাঙলাদেশে
ধর্মীয় মৌলবাদ উচেছদের পথ ভূমি ও শিল্পে ব্যক্তিমালিকানার উচ্ছেদ এবং ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা বাণিজ্য জাতীয়করণ বিশেষতঃ খাদ্য ব্যবসা জাতীয়করণ। দেশে কৃষিতে ব্যাপক যৌথ উৎপাদন প্রবর্তন। দেশের সকল নর নারীর চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদান এবং অফিসের বেতন সমান সমান করা।
ধর্মীয় মৌলবাদের দার্শনিক ভিত্তি পশ্চাদপদ ভাববাদ। এদের দার্শনিক মতবাদের মূল দিকটি প্রকৃতি, সমাজ ও মানবচিন্তার বিকাশের নিয়মকে অস্বীকার করা। দর্শনের বিকাশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সত্য ঐতিহাসিক বস্তুবাদ ও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে অস্বীকার করা। শ্রেণীবিভক্ত সমাজে শ্রেণীসংগ্রামকে অস্বীকার করা।
ধর্মীয় মৌলবাদে রয়েছে তিনটি প্রতিক্রিয়াশীল অর্থনৈতিক, সামাজিক নীতি। মেহনতী জনগণের ন্যায়সঙ্গত স্বার্থকে বিরোধীতা করা, সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকারকে বিরোধীতা করা এবং জাতিসমূহের জাতিসত্ত্বা বা জাতীয়তাকে বিরোধীতা করা।

পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি ব্যক্তিগত মালিকানা।
ধর্মীয় মৌলবাদ ব্যক্তিগত মালিকানায় বিশ্বাসী। ধর্মীয় মৌলবাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিবাদী। ধর্মীয় মৌলবাদ পুঁজিবাদ, তবে তা পশ্চাদপদ পুঁজিবাদ বা পশ্চাদপদ বুর্জোয়া-পেটিবুর্জোয়া। এই প্রতিক্রিয়াশীল মতবাদ ইহকালের তুলনায় পরকালের জীবনের উপর বেশী আস্থাবান।
ধর্মীয় মৌলবাদ পুঁজিবাদের অবিচ্ছিন্ন সহযাত্রী। ধর্মীয় মৌলবাদ সাম্রাজ্যবাদের সহযোগী। বাঙলাদেশে পুঁজিবাদের উচেছদ ছাড়া ধর্মীয় মৌলবাদের উচ্ছেদ সম্ভব নয়। বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার উচেছদ ছাড়া ধর্মীয় মৌলবাদ উচেছদ সম্ভব নয়। এক কথায় বাঙলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ উচেছদের মূল পথ পুঁজিবাদের উচ্ছেদ ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার উচ্ছেদ এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। একইসঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ উচ্ছেদের সংগ্রাম।

তারিখঃ ৩০.০৬.২০১০

বাঙলাদেশে নারী মুক্তির পথ ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম

বাঙলাদেশের সমাজ পুঁজিবাদী। এখানে নারীরা পুঁজিবাদী শোষণের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী শোষিত। যেখানে পুঁজিবাদী শোষণ থাকে বা মজুরী দাসত্ব থাকে সেখানে নারী নির্যাতন অনিবার্য। এমনকি এখানে গণিকাবৃত্তিও অনিবার্য। আরও মুনাফা আরও লাভের জন্য বুর্জোয়ারা নারীদের দেহব্যবসায় উৎসাহ যোগায়।

বাঙলাদেশের সমাজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সীমিত। অপরদিকে বাঙলাদেশের সমাজে সকল ক্ষেত্রে পুরুষেরা বিশেষ অধিকারপ্রাপ্ত। যেখানে পুঁজিবাদ, পুঁজিপতি ও বণিক থাকে সেখানে পুরুষের সঙ্গে নারীর সমতা প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। এমনকি আইনের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে না। আইনের সমতার মানে জীবনের ক্ষেত্রে সমতা নয়।

বাঙলাদেশের পুঁজিবাদী সমাজে নারী মুক্তির মূল পথ ভূমি ও শিল্পে বাক্তিমালিকানার উচেছদ এবং ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা বাণিজ্য জাতীয়করণ। দেশে কৃষিতে ব্যাপক যৌথ উৎপাদনের প্রবর্তন। সারাদেশে ব্যাপক মেহনতী নারীকে যৌথ উৎপাদনে টেনে আনা। নারীকে তার অতি সাধারণ কাজের সাংসারিক বৃত্ত থেকে বাহিরে টেনে আনার জন্য বহুসংখ্যক সামাজিক ভোজনালয়, শিশু লালনাগার ও কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করা। এবং দেশের সকল নর নারী চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদান করা এবং অফিসারের বেতন ও শ্রমিকের বেতন সমান সমান করা।

বাঙলাদেশের পুজিবাদী সমাজে নারী মুক্তির মূল পথ ব্যাপক নারীকে মেহনতী নারীকে অগ্রসর কমিউনিস্ট রাজনীতির মধ্যে টেনে আনা। অগ্রসর কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে পরিচালিত ট্রেড ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর ইউনিয়নে ব্যাপক মেহনতী নারীকে সক্রিয় করে তোলা। অগ্রসর কমিউনিস্ট রাজনীতিকে ব্যাপক মেহনতী নারীর আয়ত্ত্বাধীন করা।

পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অর্থনৈতিক ভিত্তি ব্যক্তিগত মালিকানা। পুঁজিবাদী সমাজে ব্যক্তিগত মালিকানার সঙ্গে আত্মদম্ভরিতা, পুরুষতন্ত্র ও প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মীয় চেতনা বিশেষভাবে সম্পর্কিত।

পুঁজিবাদ উচেছদ ছাড়া নারী মুক্তি সম্ভব নয়। বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার উচেছদ ছাড়া নারী মুক্তি হতে পারে না। এক কথায় বাঙলাদেশের পুঁজিবাদী সমাজে নারী মুক্তির মূল পথ পুঁজিবাদের উচ্ছেদ ও সমাজতন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার উচেছদ এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। একই সঙ্গে নারী মুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ উচ্ছেদের সংগ্রাম।

বাঙলাদেশে সমাজতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নারী মুক্তির প্রক্রিয়াকে পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। তবে পরিপূর্ণ নারী মুক্তি অর্জিত হওয়া সম্ভব কেবল পরিপূর্ণ কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।

তারিখঃ ২৪.০৬.২০১০

বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম গড়ে তুলুন

বাঙলাদেশে চলমান গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগ্রাম মূলতঃ ন্যায়সঙ্গত ও প্রগতিশীল। এই সংগ্রাম একসঙ্গে দুটি বিষয়কে সুস্পষ্ট করে তুলেছে। একটি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর গার্মেন্টস মালিকদের পুঁজিপতিদের এবং বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের শোষণ নির্যাতনের তীব্রতা। অপরটি, বাঙলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগ্রাম যথাযথ সংগঠিত করার প্রশ্নে কমিউনিস্ট নেতৃত্বের তত্ত্বগত দূর্বলতা।

বাঙলাদেশে গার্মেন্টস মালিকেরা পুঁজিপতিরা নিজেদের শ্রেণীস্বার্থে সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। দেশীয় বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার গার্মেন্টস মালিকদেরই রাষ্ট্র ও সরকার। অপরদিকে একাধিক কারণে বাঙলাদেশে (১৯৪৭-২০১০) বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম বিকশিত ও শক্তিশালী নয়। সঠিক তত্ত্বে সজ্জিত একটি সঠিক কমিউনিস্ট পার্টির অনুপস্থিতিই এক্ষেত্রে প্রধান কারণ।

শিল্প কররখানায় ন্যায্য দাবী দাওয়া নিয়ে মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সংগ্রাম ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম। ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম মূলতঃ অর্থনৈতিক সংগ্রাম।

ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকশ্রেণীর প্রকৃত শ্রেণীসংগঠন। কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণীসংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটনে ও সমাজতন বিনির্মাণে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ। রাশিয়ায় অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত করার প্রক্রিয়ায় এবং বিপ্লব উত্তর সমাজতন বিনির্মানের প্রক্রিয়ায় তা প্রমানিত।

অগ্রসর কমিউনিস্টদের কর্তব্য মার্কস, এঙ্গেলস ও লেনিনের তত্ত্বের ভিত্তিতে বাঙলাদেশে বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম গড়ে তোলা। বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম অগ্রসর কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে পরিচালিত। বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম অগ্রসর কমিউনিস্ট রাজনীতির দ্বারা সজ্জিত ও শিক্ষাপ্রাপ্ত। বিপ্লবী ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রাম ও অগ্রসর কমিউনিস্ট রাজনৈতিক সংগ্রাম অবধারিতভাবে অবিচেছদ্য সংগ্রামে পরিণত হয় এবং প্রথমোক্ত সংগ্রাম দ্বিতীয়োক্ত সংগ্রামের অঙ্গীভুত হয়।

বাঙলাদেশে এখন ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রামের মূল কর্মসূচী সকল শিল্প কারখানা গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সকল শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী পনের হাজার টাকা নির্ধারণ করা। বাঙলাদেশে অগ্রসর কমিউনিস্ট রাজনৈতিক সংগ্রামের মূল কর্মসূচী পুঁজিবাদের উচেছদ ও সমাজতন প্রতিষ্ঠা করা। বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার উচেছদ এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

তারিখঃ ২৪.০৬.২০১০