সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

বাঙলাদেশ আন্দোলন, মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবর রহমান

সাধারণভাবে বাঙলাদেশ আন্দোলন বলতে বোঝায় পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের শোষণ নির্যাতন বিরোধী পূর্ববাঙলার জনগণের মেহনতী জনগণের সামগ্রিক মুক্তি আন্দোলন। বিশেষ করে প্রথমতঃ পূর্ববাঙলার জনগণের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। দ্বিতীয়তঃ পূর্ববাঙলার জনগণের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধ।

বাঙলাদেশ আন্দোলনের (১৯৪৭-১৯৭১) ফল
শ্রুতি স্বাধীন বাংলাদেশ। মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবর রহমান নিজ নিজ শ্রেণীগত অবস্থান থেকে বাঙলাদেশ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিত নেতা। পাকিস্তান আমলে ভাসানী ছিলেন একজন প্রতাপশালী কৃষক সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্টদের বন্ধু। মুজিব ছিলেন পূর্ববাঙলার বাঙালী বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদীদের প্রধান নেতা এবং পূর্ববাঙলার বিকাশমান পুঁজিবাদের প্রধান প্রবক্তা।

সামগ্রিক অর্থে পূর্ববাঙলার জনগণের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এবং পূর্ববাঙলার জনগণের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবর রহমানের ভূমিকা ছিল অর্থপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। ভাসানী ও মুজিবের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা ছাড়া একাত্তর সালে স্বাধীন বাঙলাদেশের জন্ম হতো না। বাঙলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসের সঙ্গে ভাসানী ও মুজিবের নাম সবচেয়ে বেশী আলোচিত ও জড়িত।

কিন্তু এসব কথা সব নয়। বাঙলাদেশ আন্দোলনের ইতিহাস বড় জটিল। পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের শোষণ নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনে মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবর রহমানের ভূমিকার ধারাবাহিকতা ছিলনা। শ্রেণীচরিত্রের কারণে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় কখনও ভাসানী কখনও মুজিব পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারকে সহযোগিতা করেছেন।

পাকিস্তান আমলে পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের সাহায্যসহ মওলানা ভাসানী পূর্ববাঙলার জনগণের মেহনতী জনগণের জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তুলেন। কিন্তু শেখ মুজিবর রহমান উপরোক্ত আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং
এক্ষেত্রে জাতিনিপীড়ক পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারকে সহযোগিতা করেন। এসময় মুজিব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বৈরাচারী সরকারের সাহায্য নিয়ে ভাসানী ও কমিউনিস্টদের উপর শারীরিক নির্যাতনও করেন।

শেখ মুজিবর রহমান বিশেষতঃ দুটি কারণে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের পরিচালনায় সংগঠিত এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং এই ক্ষেত্রে পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের পাশে দাঁড়ান। এক, জাতিনিপীড়ক পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের শোষণ নির্যাতন বিরোধী মওলানা ভাসানী সংগঠিত এই আন্দোলনের কর্মসূচীতে পূর্ববাঙলার বাঙালী বুর্জোয়াদের শ্রেণীস্বার্থের প্রাধান্য ছিল
না। দুই, উপরোক্ত কর্মসূচীতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচীর উপস্থিতি ছিল।


পাকিস্তান আমলে ষাট দশকের মাঝামাঝি পর্বে শেখ মুজিবর রহমান ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে পূর্ববাঙলার জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এসময় পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশ শেখ মুজিবর রহমান প্রদত্ত ছয় দফা কর্মসূচীকে মূলতঃ সমর্থন করেন এবং এই প্রশ্নে শেখ মুজিবর রহমানকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করেন।

মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশ শেখ মুজিবর রহমানের ছয় দফা কর্মসূচীকে বিরোধিতা করেন এবং এই প্রশ্নে জাতিনিপীড়ক পাকিস্তান বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারকে সহযোগিতা করেন। কেবল তাই নয় মওলানা ভাসানী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন শক্তিশালী করার নামে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী বুর্জোয়া সরকার আইউব সরকারের সঙ্গে অলিখিত ঐক্য গড়ে তুলেন।

মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশ বিশেষতঃ দুটি কারণে শেখ মুজিবর রহমানের ছয় দফা কর্মসূচী ভিত্তিক আন্দোলনের বিরোধিতা করেন এবং এই প্রশ্নে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকারের পাশে দাঁড়ান। এক, মুজিবের ছয় দফা কর্মসূচীতে প্রধানতঃ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের কর্মসূচীর অনুপস্থিতি। দুই, পূর্ববাঙলার নিপীড়িত বাঙালী বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদীদের জাতীয়তাবাদকে প্রতিহত করা।

অবশেষে পূর্ববাঙলার বাঙালী বুর্জোয়াদের স্বার্থর
ক্ষক ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে গিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী বুর্জোয়া সরকার আইউব সরকার কর্তৃক শেখ মুজিবর রহমান গ্রেফতার হন। মওলানা ভাসানী পাকিস্তানের স্বৈরাচারী বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভাসানী ও কমিউনিস্টরা এসময় পূর্ববাঙলার শ্রমিক ও কৃষকের অর্থনৈতিক সংগ্রাম বিশেষভাবে সংগঠিত করেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টরা প্রধানতঃ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। প্রথম অংশটি (সংস্কারবাদী ধারা) পূর্ববাঙলার নিপীড়িত বাঙালী বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদীদের জাতীয়তাবাদকে অতিশয় প্রগতিশীল হিসেবে চিহ্নিত করে। দ্বিতীয় অংশটি (নৈরাজ্যবাদী ধারা) পূর্ববাঙলার নিপীড়িত বাঙালী জাতীয়তাবাদীদের জাতীয়তাবাদকে অতিশয় প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে চিহ্নিত করে।

তবে মওলানা ভাসানী ও পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের অপে
ক্ষাকৃত অগ্রসর একটি অংশ উপরোক্ত দুটি ধারা থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের একটি অংশ দেশের ভেতরে থেকে জাতি নিপীড়ক পাকিস্তান সামরিক বুর্জোয়া সৈরতন্ত্র বিরোধী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।


পাকিস্তান আমলে (১৯৪৭-১৯৭১) মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও কমিউনিস্টদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য ছিলনা। কারণ রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পরামর্শে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টরা রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। যেহেতু, রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির তত্ত্বগত লাইন ছিল মূলতঃ পেটি-বুর্জোয়া চরিত্রবিশিষ্ট সেহেতু, মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল মূলতঃ পেটি-বুর্জোয়া চরিত্রবিশিষ্ট।


পঞ্চাশ দশকের প্রথম পর্বে রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি মওলানা ভাসানী ও পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের কৌশলগত কারণে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মধ্যে কাজ করার জন্য পরামর্শ দেয়। চুয়ান্ন সালে রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প
ক্ষ থেকে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের বুর্জোয়া নেতা ফজলুল হক ও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা ও যুক্তফ্রন্টের শরীক দল হিসাবে প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

ষাট দশকের শেষ পর্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কৌশলগত কারণে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশকে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী বুর্জোয়া সরকার আইউব সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ দেয়। ষাট দশকের শেষ পর্বে রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির পৰ থেকে কৌশলগত কারণে কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশকে পূর্ববাঙলার বাঙালী বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী নেতা শেখ মুজিবর রহমানকে সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন পাকিস্তান আমলের শেষ পর্বে স্বাধীনতা উত্তর বাঙলাদেশের প্রথম পর্বে বেশীরভাগ সময় শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন কমিউনিস্টদের একটি বড় অংশের নেতা। অপরদিকে পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীনতা উত্তর বাঙলাদেশে বেশীরভাগ সময় মওলানা ভাসানী ছিলেন কমিউনিমটদের একটি বড় অংশের নেতা। কমিউনিস্ট তত্ত্বের দিক থেকে এরকম রাজনৈতিক পদ
ক্ষেপ বড় রকম পেটি-বুর্জোয়া বিচ্যুতির নামান্তর।

সামগ্রিক অর্থে, শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅ
ভ্যুত্থানের প্রধান নেতা। ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থান সংঘটিত হয় মূলতঃ ছয় দফা ও এগার দফার কর্মসূচীর ভিত্তিতে। মুজিব প্রণীত ছয় দফা এগার দফার ভিত্তি। শ্রেণীচরিত্রের দিক থেকে ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থানের প্রধান ধারা বুর্জোয়া পেটি-বুর্জোয়া ধারা। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা এই প্রধান ধারার প্রধান নেতা ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান।

ষাট দশকের শেষ দিকে মওলানা ভাসানী ও পূর্ববাঙলার কমিউনিস্টদের একটি অংশ চীন ও রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চাদপদ তত্ত্বগত লাইন প্রত্যাখান করে। মওলানা ভাসানী ঊনসত্তরের গণঅ
ভ্যুত্থানে সুনির্দিষ্ট সময় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পূর্ববাঙলার এসকল কমিউনিস্ট ও মওলানা ভাসানী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে পূর্ববাঙলার শ্রমিক কৃষক মেহনতী জনগণের শ্রেণীস্বার্থরক্ষক ধারা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সঙ্গত কারণে ভাসানী ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থানের অন্যতম প্রধান নেতা হিসাবে স্বীকৃতি পান।

পাকিস্তান আমলে শ্রেণীচরিত্রের কারণে সাধারণভাবে বেশীরভাগ সময় পুর্ববাঙলার নিপীড়িত বাঙালী বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদীদের নেতা হিসাবে শেখ মুজিবর রহমানের প্রগতিশীল ভূমিকা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর বাঙলাদেশে
ক্ষমতাসীন হওয়ার পর শ্রেণীচরিত্রের কারণে তিনি স্বৈরশাসকে পরিণত হন। একসময় জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন শেখ মুজিবর রহমান বাঙলাদেশের শাসকশ্রেণী বুর্জোয়াশ্রেণীর অধিকতর রক্ষণশীল অংশের হাতে নিহত হন। তবে একথা সত্য যেহেতু তিনি বাঙলাদেশ বুর্জোয়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সেহেতু অবশেষে শেখ মুজিবর রহমান বাঙলাদেশের শাসকশ্রেণী বুর্জোয়াশ্রেণীর প্রধান অংশের দ্বারা ইতিহাসে শ্রেণীগত মর্যাদাপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হন।

লেনিন উত্তর রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চাদপদ তত্ত্বগত লাইনের কারণে স্বাধীনতা উত্তর বাঙলাদেশে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টরা ছিলেন পুনরায় আগের মতোই অনেকটা বিভ্রান্ত। মওলানা ভাসানীর মৃতু্যর পর একই কারণে বাঙলাদেশের কমিউনিস্টরা এখনও মূলতঃ বিভ্রান্ত। যেমন, স্বাধীন পুঁজিবাদী দেশ ও বু
র্জোয়া রাষ্ট্র বাঙলাদেশে কমিউনিস্টরা এখনও প্রধানতঃ সমাজতান্ত্রিক সংগ্রাম গড়ে তোলার পরিবর্তে প্রধানতঃ গণতান্ত্রিক সংগ্রাম গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

রাশিয়ার কমিউনিস্ট পাটি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির যেসকল পশ্চাদপদ মূল তত্ত্বগত লাইনের কারণে পাকিস্তান আমলে ও বাঙলাদেশ আমলে মওলানা ভাসানী ও কমিউনিস্টরা বিশেষভাবে বিভ্রান্ত ছিলেন সেগুলি উল্লেখ করা হলো। লেনিনের মৃ
ত্যুর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনে এসকল পশ্চাদপদ তত্ত্বগত লাইনের উদ্ভব ঘটে।

যেমন, সাম্রাজ্যবাদকে (প্রত্য
ক্ষ বা পরোক্ষ) সকল উন্নয়নশীল দেশের জনগণের প্রধান শত্রম্ন হিসাবে চিহ্নিত করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরও সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ শোষণের অবসানের পরও উন্নয়নশীল দেশে পুঁজিবাদের বিকাশের বাস্তবতাকে অস্বীকার করা। স্বাধীন পুঁজিবাদী দেশে বুর্জোয়া রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক সংগ্রামের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া।

একথা সত্য বাঙলাদেশে এখনও মওলানা ভাসানী শ্রেণীগত মর্যাদাপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত নন। তবে একথাও সত্য লেনিন উত্তর বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের বি
প্লবী পুনর্গঠনের পর অগ্রসর কমিউনিস্টদের পক্ষে বৃটিশ আমলে, পাকিস্তান আমলে ও বাঙলাদেশ আমলে মওলানা ভাসানীর অর্থপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রগতিশীল দিকগুলি চিহ্নিত করা সম্ভব। সঙ্গত কারণে বাঙলাদেশে আগামী দিনের অগ্রসর কমিউনিস্টদের দ্বারা ইতিহাসে শ্রেণীগত মর্যাদাপূর্ণ স্থানে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত হবেন।

তারিখ: ১৬.১০.২০১১
                               আইউব রেজা চৌধুরী