শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন চায়। তারা
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াত-শিবির সহ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ,
ধর্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাড় করানোর অপচেষ্টা রুখে দাড়াতে
চায়। নি:সন্দেহে এই আকাঙ্খা ন্যয় সঙ্গত।
তরুণদের এই আন্দোলনকে সমর্থন ও সুরক্ষা করা জরুরি।
কিন্তু শাহবাগের আন্দোলন যতই দলীয়করণ হচ্ছে ততই এর তেজ ও উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
এই
আন্দোলনকে ফের গণজাগরণে পরিণত করতে দলীয়করণ ও ক্ষমতা দখলের ক্রিড়নক হওয়ার
পরিনতি থেকে রক্ষা করা জরুরি। কারণ আওয়ামী লীগ এখন আর স্বাধীনতার মৌল চেতনা
ধারণ করার জন্য মোটেই নির্ভরযোগ্য দল নয়। এসময়ে এদের কাছে স্বাধীনতার
চেতনা হল
ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা ও শোষণ ভিত্তিক ব্যবস্থা জারি রাখা।
শাহবাগের
আন্দোলনের প্রশ্নে বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, গণবিরোধী ও প্রশ্নবিদ্ধ
অবস্থানকে প্রত্যাখ্যান করুন। স্বাধীনতার ঘোষকের দল বলে জাহির করা এই দলটির
মুখোশ খুলে ফেলুন।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মৌল চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মোহমুক্ত হোন এবং জনগণের ওপর আস্থাশীল হোন।
আমাদের মতে, বহুজাতিক কোম্পানির কাছে দেশের তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ
ইজারা দেয়া মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মৌল চেতনা নয়। দেশকে হত্যা গুম
নির্যাতন দুর্নীতি, শোষণ লুটতরাজ, শেয়ার কেলেঙ্কারী, হলমার্ক কেলেঙ্কারী ও
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে জনগণের সম্পদ আত্মসাতের ভাগারে পরিণত করাও
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা নয়।
আমাদের মতে শোষণমুক্তিই
হল
স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা। একটি সুখী সমৃদ্ধশালী
অসাম্প্রদায়িক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই এই চেতনার মর্মকথা। আরো
সুনিদ্দিষ্টভাবে স্বাধীনতা য্দ্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসর চেতনা হল
’স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা।
আসুন, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করতে শাহবাগের তরুণদের পাশে গিয়ে
দাঁড়াই। একটি শোষণমুক্ত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।
কমিউনিস্ট ইউনিয়ন
০৫.০৩.১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন